আজকের ইন্দোনেশিয়া টাকার মান | ইন্দোনেশিয়ার ১ রুপিয়াহ বাংলাদেশের কত টাকা

আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য, ভ্রমন বা অনলাইন লেনদেন সবক্ষেত্রে মুদ্রার মান অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ রাষ্ট্র দেশ হলো ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়াকে দ্বীপ রাষ্ট্র দেশও বলা হয়ে থাকে। যার কারণে অনেক বাংলাদেশী ইন্দোনেশিয়াতে ভ্রমণ, ব্যবসা বা চাকরির উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকে। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে জানবো ইন্দোনেশিয়া টাকার মান বা রেট কত সেই সম্পর্কে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে আপনি জানতে পারবেন ইন্দোনেশিয়া ১ রুপিয়াহ সমান বাংলাদেশের কত টাকা এবং ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নাম কি, ইন্দোনেশিয়ার কাগজের নোট ও কয়েন এমনকি ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার ইতিহাস সম্পর্কেও এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।

ইন্দোনেশিয়া মুদ্রার নাম কি?

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মুদ্রার নাম হলো ‘রুপিয়াহ (Rupiah)’। এই নামটি হলো ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার অফিশিয়াল নাম এবং রুপিয়াহ আন্তর্জাতিক কোড হলো IDR। এই মুদ্রাটি ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক Bank Indonesia দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এই মুদ্রাটি ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ।

সাধারণত, আমাদের দেশের টাকার নোট গুলোতে এক দিকে বাংলাতে এবং অন্যদিকে ইংলিশে লেখা থাকে, কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার নোট বা কয়েন গুলোর সামনে ও পিছনে উভয় দিকে এক ভাষায়, অর্থ্যাৎ ইন্দোনেশিয়ায় ভাষায় লেখা থাকে। এই মুদ্রার সামনে দিকে সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্র, মূল্য এবং জাতীয় বীরের নাম লেখা থাকে এবং এই মুদ্রার পিছনের দিকে লেখা থাকে মুদ্রার মূল্য, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্থানের নাম, ব্যাংক ইন্দোনেশিয়ার নাম এবং কখনো কখনো ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় প্রতীক “Garuda Pancasila” থাকে।

ইন্দোনেশিয়া টাকার মান (১ রুপিয়াহ সমান কত টাকা)

যাইহোক, আজকের উল্লেখিত রেট অনুযায়ী ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউস গুলোতে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার রেট আরো কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে, কারণ ব্যাংকের রেট এক ধরনের হয়ে থাকে এবং এক্সচেঞ্জ হাউস গুলোর রেট অন্যরকম হয়ে থাকে। তাই, ইন্দোনেশিয়া টাকা বাংলাদেশির টাকা এক্সচেঞ্জ করার আগে বা বাংলদেশের টাকা ইন্দোনেশিয়ার টাকায় এক্সচেঞ্জ করার আগে অবশ্যই একবার হলেও অনলাইন থেকে আজকের ইন্দোনেশিয়ার টাকার রেট জেনে নিবেন। বিশেষ করে ভ্রমণ ও ব্যাবসায়ীদের জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ন, আমাদের বাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগই মানুষ হয়তো ভ্রমণ করার জন্য যায় না হয় ব্যবসা করার জন্য সেখানে যায়। চাকরি করার জন্য যাওয়ার সংখ্যা অনেক কম।

ইন্দোনেশিয়ায় সেন (sen) কি?

সেন (sen) হলো ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার একটি ছোট একক, যেখানে ১ ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ সমান ১০০ সেন। যেমনটা আমাদের বাংলাদেশে ১ টাকা সমান ১০০ পয়সা হিসাব করা হয় তেমনি এখানে সেন হিসাব করা হয়। অনেকে আবার মনে করতে পারেন, এটা মনে হয় মার্কিন ডলারের সেন্ট। না, যারা এটি মনে করবেন তারা সবাই ভুল, কারণ সেন আর সেন্ট এর মধ্যে অনেক পার্থক্য। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া সেন তেমন বেশি ইউজ করা হয় না, কারণ এই দেশের মুদ্রাস্ফীতি ও রুপিয়াহর মূল্যমান অনেক কম। যে কারণ সেন ভিত্তিক মুদ্রা বাজার প্রায় অচল, শুধুমাত্র বড় অংকের রুপিয়াহ নোট ও কয়েন বেশি প্রচলিত এখানে।

ইন্দোনেশিয়ার ১ রুপিয়াহ বাংলাদেশের কত টাকা (Indonesia Rupiah To Bangladeshi Taka)

তাই, ইন্দোনেশিয়া রপিয়াহ টু বাংলাদেশি টাকা (IDR TO BDT) বা বাংলাদেশি টাকা টু ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ (BDT TO IDR) এক্সচেঞ্জ করার আগে অবশ্যই একবার হলেও অনলাইন থেকে আজকে ইন্দোনেশিয়ার টাকার রেট দেখে নিবেন।

ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ রেট পরিবর্তনের কারণসমূহ (রুপিয়াহ টু টাকা)

ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা রুপিয়াহ রেট সবসময় এক থাকে না, বিভিন্ন কারণে এই মুদ্রার রেট নিয়মিত পরিবর্তন হতে থাকে:

  • বৈদেশিক মুদার চাহিদা ও সরবরাহ: আমদানি এবং রপ্তানি ক্ষেত্রে যদি ডলারের চাহিদা বেশি হয় তাহলে রুপিয়াহ দুর্বল হয়, আবার রুপ্তানি বাড়লে সেক্ষেত্রে রুপিয়াহ শক্তিশালী হতে পারে।
  • বিনিয়োগকারীদের আস্থা: যদি, বিদেশী বিনিয়োগ কারীদের বিনিয়োগ কমে যায় তাহলে রুপিয়াহর চাহিদা কমে যায়, ফলে এই মুদ্রার মান কমতে থাকে।
  • ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া এর নীতিমালা: কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি সুদের হার বা মুদ্রানীতি পরিবর্তন করে তাহলে রুপিয়াহর মানে পরিবর্তন আসতে পারে।
  • বিশ্ববাজারে তেল ও অনান্য পণ্যের দাম: ইন্দোনেশিয়া হলো তেল আমদানি নির্ভর, তাই আন্তর্জাতিক বাজারে যদি তেলের দাম উঠানামা করে তাহলে রুপিয়াহর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত কাগজের নোট (Indonesia Rupiah Notes) ও কয়েন

ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত মুদ্রা হলো রুপিয়াহ (IDR), নিচে ইন্দোনেশিয়ায় প্রচলিত কাগজের নোট ও কয়েন গুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে:

নোটসরং ও বৈশিষ্ট্য
1,000 রুপিয়াহ (Rp 1000)সবুজ → ক্ষুদ্র লেনদেন এর ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয় এবং Tjut Meutia এর ছবি থাকে।
2,000 রুপিয়াহ (Rp 2,000)ধূসর → ক্ষুদ্র খরচ এর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় এবং Mohammad Husni Thamrin এর ছবি থাকে।
5,000 রুপিয়াহ (Rp 5,000)বাদামি → মধ্যম লেনদেন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় এবং Ki Hadjar Dewantara এর ছবি থাকে।
10,000 রুপিয়াহ (Rp 10,000)বেগুনি → সাধারণ লেনদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে এবং Frans Kaisiepo এর ছবি থাকে।
20,000 রুপিয়াহ (Rp 20,000)সবুজ → পর্যাপ্ত মান বা পর্যাপ্ত লেনদেন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে এবং Oto Iskandar Di Nata এর ছবি থাকে।
50,000 রুপিয়াহ (Rp 50,000)নীল → বড় লেনদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এবং Djuanda Kartawidjaja এর ছবি থাকে।
100,000 রুপিয়াহ (Rp 100,000)লাল → সর্বোচ্চ মূল্যমানের নোট এবং Soekarno, Hatta এর ছবি থাকে।

সাধাণরত ইন্দোনেশিয়ার প্রতিটি নোটের মধ্যে একজন করে জাতীয় বীর বা ইতিহাসখ্যাত ব্যাক্তির ছবি বা নাম থাকে এবং প্রতিটি নোটের ডিজাইন ও রঙ আলাদা আলাদা থাকে।

ইন্দেনেশিয়ায় প্রচলিত কয়েন (Coin):

  • 100 রুপিয়াহ → অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি
  • 200 রুপিয়াহ → নিকেল দ্বারা তৈরি
  • 500 রুপিয়াহ → অ্যালুমিনিয়াম/নিকেল দ্বারা তৈরি
  • 1,000 রুপিয়াহ → বাইমেটালিক দ্বারা তৈরি

নোট: বেশিরভাগই সময় ইন্দোনেশিয়ায় বড় মূল্যমানের নোট যেমন (১০০০০, ২০০০০, ৫০০০০, ১০০০০০ রুপিয়াহ) গুলো বেশি ব্যাবহার হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশের মতো ইন্দোনেশিয়ায়ও ছোট কয়েন ও ১০০০ থেকে ৫০০০ রুপিয়াহ নোট গুলো শহর ও গ্রাম অঞ্চলে খুচরা লেনদেন ও ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।

ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ থেকে বাংলাদেশি টাকা এক্সচেঞ্জ রেট – (আজকের আপডেট)

অনেকে জানতে চাই, ইন্দোনেশিয়ার ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার ১০০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা, ইন্দোনেশিয়ার ৫০০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা, ইন্দোনেশিয়ার ১০০০০ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। সত্যি কথা হলো ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা নাম হলো রুপিয়াহ তাই ইন্দোনেশিয়ায় টাকা বলা হয় না।

১ ডলার সমান ইন্দোনেশিয়া কত টাকা (USD TO IDR)

ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার ইতিহাস | ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ কিভাবে এসেছে?

ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার ইতিহাস (History of Indonesian Currency) অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়, যা দেশটির রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঔপনিবেশিক শাসন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। নিচে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

প্রাচীন যুগে ইন্দোনেশিয়ায় বিভিন্ন রাজ্যে ও বিভিন্ন দ্বীপে আলাদা ধরনের মুদ্রা ব্যবহার হতো। তখনকার সময় চীন থেকে আমদানি করা ধাতব মুদ্রা প্রচলিত ছিল, এছাড়াও স্থানীয়ভাবে তৈরি স্বর্ণ ও রূপার কয়েন প্রচলিত ছিল।

ডাচ ঔপনিবেশিক যুগ (১৬০২ – ১৯৪২): ইন্দোনেশিয়ায় শাসনকালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (VOC) গিল্ডার (Gulden) নামে একটি মুদ্রা চালু করে। বলে রাখা ভালো, VOC নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করে এবং প্রায় ৩৪০ বছর ডাচ মুদ্রার আধিপত্য ছিল।

জাপানি শাসনামল (১৯৪২ – ১৯৪৫): জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইন্দোনেশিয়াকে দখল করে নেয়, এই সময় তারা জাপানি রুপিয়া চালু করে, যা ছিল মুদ্রাস্ফীতিতে দুর্বল ও অস্থির। তখনকার সময় মানুষ এই মুদ্রাকে বিশ্বাস করত না এবং এই মুদ্রার মূল্য ছিল অনেক কম।

স্বাধীনতার পর (1945 – বর্তমান): ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতার পর ১৯৪৫ সালে প্রথম “রুপিয়াহ (Rupiah)” নামক নিজেদের মুদ্রা চালু করে। ১৯৪৬ সালে “Oeang Republik Indonesia” (ORI) নামে প্রথম স্বাধীন ইন্দোনেশিয়া মুদ্রা চালু হয়।

ইন্দোনেশিয়া টাকার মান কম কেন

  • এশিয়ান অর্থনৈতিক সংকটের সময় ১৯৯৭ সালে ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ মারাত্মকভাবে মূল্য হারায় এবং তখন থেকেই এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
  • ঐ দেশের মুদ্রার মান ধরে রাখা অনেক কঠিন হয়ে যাবে যদি না শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ না থাকে।
  • ইন্দোনেশিয়ায় অতীতে বারবার উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে রুপিয়াহর মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
  • ইন্দোনেশিয়ায় বেশিরভাগই পণ্য আমদানি করা হয়, যার কারণে তাদের ডলারের বিপরীতে বেশি মুদ্রা দিতে হয়। যার কারণে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়।
  • অনেক দেশে মুদ্রার মূল্যমান বেশি হয়ে গেলে মুদ্রা পুনর্মূল্যায়ন করে, যেমন ১০,০০০ কে ১০ করে। ইন্দোনেশিয়া তা এখনও করেনি, যার কারণে এটিও তাদের মুদ্রাকে আজ পিছনে ফেলে রেখেছে।

ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ এক্সচেঞ্জ করার নিয়ম

ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ (IDR) বাংলাদেশি টাকায় অথবা বাংলাদেশী টাকা (BDT) ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহয় এক্সচেঞ্জ করার নিয়ম সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো:

  • ভ্রমণের সময়: বেশিরভাগ বাংলাদেশী ভ্রমন করার উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে থাকে, আপনি যদি ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমন করতে যান তাহলে এয়ারপোর্ট, ব্যাংক বা অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে বাংলাদেশী মুদ্রা রুপিয়াহতে পরিবর্তন করতে পারেন।
  • অনলাইনে এক্সচেঞ্জ: বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ও শক্তিশালী মানি এক্সচেঞ্জ ওয়ালেট অ্যাপ রয়েছে যেমন; (পেওনিয়ার, বাইনান্স, পেপলা ইত্যাদি) আপনি চাইলে এই মোবাইল ব্যাংকিং ওয়ালেট গুলোর মাধ্যমে যেকোন দেশের বা ইন্দোনেশিয়া মুদ্রা থেকে যেকোন দেশের মুদ্রার এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারবেন।
  • বিমানবন্দর এক্সচেঞ্জ হাউস: আপনি চাইলে বাংলাদেশের বড় বড় বিমানবন্দর বা এয়ারপোর্ট গুলো থেকে ইন্দোনেশিয়া মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করতে পারেন অথবা ইন্দোনেশিয়ার বড় বিমানবন্দর বা এয়ারপোর্ট থেকেও টাকা এক্সচেঞ্জ করতে পারেন।
  • সরকার অনুমোদিত ব্যাংক: আপনি চাইলে অনেক সহজ নিরাপদ উপায়ে বাংলাদেশের বা ইন্দোনেশিয়ার সরকারি অনুমোদিত ব্যাংক গুলো থেকে ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ টু বাংলাদেশী টাকায় এক্সচেঞ্জ করতে পারেন। এই মাধ্যমটি অনেক নিরাপদ।

সতর্কতা:

ইন্দোনেশিয়া মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করার সময় অবশ্যই জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউস গুলো ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।
অনলাইন থেকে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করার সময় আগে আপনি হাতে টাকা পাবেন তারপর টাকা দিবেন।
ইন্দোনেশিয়া রুপিয়াহ এক্সচেঞ্জ করার সময় অবশ্যই আজকের ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার মান জেনে নিবেন।

উপসংহার

যারা ব্যবসা বাণিজ্য বা ভ্রমনের উদ্যেশ্যে এমনকি চাকররি জন্যও ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে থাকে তাদের অবস্যই উচিত, অনলাইন থেকে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রার রেট সম্পর্কে জেনে নেওয়া। হয়তো, আন্তর্জাতিক বাজারে ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা মান কিছুটা কম কিন্তু এই মুদ্রা দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ভিত্তি। ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীন বাজারে এই মুদ্রা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

আমি আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক উপকার করেছে, যদি আজকের ইন্দোনেশিয়া টাকার রেট এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনি আমাদের টিমের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার কাছে একটি অনুরোধ আর্টিকেলটি যদি আপনার উপকার করে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আমাদের সাহায্য করুন।

আরো পড়ুন:

Leave a Comment